বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় মহাসমাবেশের অংশ নিতে পারলেন না ছগির খান (৩০)। সমাবেশে যোগদানের জন্য নৌপথে যাওয়ার পথে শুক্রবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে ট্রলার দুর্ঘটনায় রাতে মৃত্যু হয়। ছগির বিএনপির কর্মী ছিলেন। বরগুনা সদর উপজেলার নলটোনা ইউনিয়নের পশ্চিম গর্জনবুনিয়া গ্রামের ইদ্রিস খানের ছেলে ছগির।
ছগির স্থানীয় মেকছেদপুর বাজারে মোবাইল সারাইয়ের কাজ করতেন। তার মৃত্যুর বিষয়ে পরিবার ও বিএনপির পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে।
বিএনপির সমাবেশের সমন্বয়কারী ও বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট বিলকিস জাহান শিরিন জানান, বরগুনা থেকে ট্রলারযোগে নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে আসছিলেন। বিষখালী নদী অতিক্রমকালে একটি ট্রলারের সঙ্গে আরেকটি ট্রলারের ধাক্কা লাগে। ছগির খান ট্রলার থেকে সিটকে পড়ে দুই ট্রলারের মাঝখানে চাপা লেগে আহত হন। এরপর তাকে উদ্ধার করে বরগুনা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হলে তার মৃত্যু হয়।
ছগিরের স্বজনরা বলছেন, ছগির ইলিশ মাছ ধরা দেখতে শুক্রবার বিকেলে বিষখালী নদীতে জেলেদের ট্রলারে করে যান। যাত্রা পথে দুটি মাছ ধরা ট্রলারের মধ্যে প্রতিযোগীতা শুরু হয়। দুটি ট্রলারে ধাক্কা লাগে, তখন ছগির ট্রলার দুটির মাঝখানে চাপা পড়ে। একটা পর্যায়ে বিষখালী নদীতে পড়ে যায়। তখন জেলেরা তাকে উদ্ধার করে বরগুনা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেখানে তার মৃত্যু হয়।
বরগুনা সদর থানার ওসি আলী আহম্মেদ রাতে মুঠোফোনে কালের কণ্ঠকে বলেন, বিএনপির কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার জন্য ট্রলারে করে নেতাকর্মীদের সঙ্গে যাচ্ছিলেন ছগির খান। তখন দুটি ট্রলারে মাঝে পড়ে গুরুতর আহত হন। এক পর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে নদীতে পড়ে যান। তখন সঙ্গে থাকা দলীয় কর্মীরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। লাশ মর্গে রয়েছে। ময়নাতদন্ত করা হবে। ছগিরের পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা চাইলে আইনের আশ্রয় নিতে পারবেন।